Author name: Beautiful Tangail

Delduar

টাঙ্গাইলের ঐতিহাসিক স্থাপত্য সওদাগরী মসজিদ

প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের ঐতিহাসিক আটিয়া সওদাগরী মসজিদটি ধ্বংসের পথে। এক গম্বুজ বিশিষ্ট সওদাগরী মসজিদটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যের একটি উৎকৃষ্ট নির্দশন। এই স্থাপনাটি মজবুত ইটের গাথুনি ও দৃষ্টিনন্দন করেই নির্মিত হয়েছিল। আটিয়া গ্রামের লৌহজং নদীর তীরে এ মসজিদটি অবস্থিত। এর পাশেই রয়েছে ৪শত বছরের পুরনো আটিয়া মসজিদ। মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখে ধারনা করা হয় মোঘল আমলের শেষ দিকে অথবা কোম্পানি আমলের প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল। একসময় আটিয়া পরগনা ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল। সওদাগররা বাণিজ্য করতে এখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতেন। সে সময় একজন সওদাগর মসজিদটি নির্মাণ করেন। ধর্মপ্রাণ সওদাগরদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদটি নির্মাণ করা হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে কালের স্বাক্ষী মসজিটির জরুরীভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা না হলে অচীরেই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশংঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেয়ালের স্তর খসে পড়ছে। মসজিদের ছাদে ও দেয়ালের চারিদিকে আগাছা গজিয়েছে। দিন দিন বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে মসজিদটি। এলাকাবাসী জানায়, আটিয়া হলো টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক একটি নাম। আটিয়াকে ঘিরে গড়ে ওঠেছিল কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। তা প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কালক্রমে ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। তারা জানায়, এক সময় আটিয়া মসজিদ ও সওদাগরী মসজিদ দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে পর্যটকরা ভীর জমাতেন। কিন্তু এখন মসজিদ দুইটি সৌন্দর্য হারিয়েছে। সে কারনে পর্যটক আগের মতো আসেন না। সওদাগরী মসজিদের পাশেই রয়েছে আরেকটি ঐতিহাসিক আটিয়া মসজিদ। এক সময় দশ টাকা নোটে মুদ্রণ করা হয় আটিয়া মসজিদটি। সেটিরও যতœ নেই। আটিয়া মসজিদ ও আটিয়া সওদাগরী মসজিদ দুইটি খুবই প্রাচীন। বর্তমানে প্রাচীনতম আটিয়া মসজিদ ও আটিয়া সওদাগরী মসজিদ দুইটি সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তা না হলে এদুটি মসজিদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। (আরকেপি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯) source (https://m.u71news.com/article/127981/index.html)

Uncategorized

আমাদের টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল জেলা হল বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার একটি, যা ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে টাঙ্গাইল মহকুমা থেকে ৯৭৫ বর্গকিলোমিটার এবং ময়মনসিংহ সদর মহকুমা থেকে ২৪৩৯ বর্গকিলোমিটার জমি নিয়ে বর্তমান টাঙ্গাইল জেলাটি তৈরি করা হয়। উপজেলার সংখ্যা অনুসারে টাঙ্গাইল বাংলাদেশের “এ” শ্রেণীভুক্ত একটি জেলা। [২] জেলাটির মোট আয়তন ৩৪১৪.৩৫ বর্গ কিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ৩৮ লাখ। টাঙ্গাইল আয়তনের ভিত্তিতে ঢাকা বিভাগের সর্ববৃহৎ জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ২য় সর্ববৃহৎ জেলা। ১৯৬৯ সাল অবধি টাঙ্গাইল ছিল অবিভক্ত ময়মনসিংহ জেলার একটি মহকুমা এবং ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে টাঙ্গাইল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এটি একটি নদী বিধৌত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এ জেলা যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এর মাঝ দিয়ে লৌহজং নদী প্রবহমান। অবস্থান ও আয়তন টাঙ্গাইল জেলা ঢাকা হতে প্রায় ৮৪ কি মি দূরে অবস্থিত। এর আয়তন ৩৪১৪.৩৮ বর্গ কি.মি.। এই জেলার উত্তরে জামালপুর জেলা, দক্ষিণে ঢাকা জেলা ও মানিকগঞ্জ জেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা, পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ জেলা।

Scroll to Top